ফিনল্যান্ড-রাশিয়া সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
রাশিয়ার আগ্রাসনের আশঙ্কায় ন্যাটোর উত্তর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করছে ফিনল্যান্ড। দেশটির পূর্ব সীমান্তে, রাশিয়া থেকে মাত্র ১৬ কিমি দূরে লাপেনরান্টা শহরের পাশে, স্বেচ্ছাসেবী রিজার্ভ সেনারা ড্রোন ও শ্যুটিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর ন্যাটোতে যোগ দেয় ফিনল্যান্ড। এর ফলে দীর্ঘ ৮৩৩ মাইল দীর্ঘ সীমান্তে স্নায়ুযুদ্ধ যুগের স্মৃতি ফিরছে।
ফিনল্যান্ডে রিজার্ভ সেনাদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বয়সসীমা ৬৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে ২০৩১ সালের মধ্যে এক মিলিয়ন রিজার্ভ সেনা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, ন্যাটোর নতুন কমান্ড হেডকোয়ার্টার স্থাপিত হচ্ছে সীমান্তবর্তী মিকেলি শহরে।
অন্যদিকে, ফিনল্যান্ড ২০২৩ সালে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে রাশিয়ার সঙ্গে সড়ক সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এতে রাশিয়ান পর্যটন ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে €৩০ মিলিয়নের ক্ষতি হয় এবং বেকারত্ব প্রায় ১৫ শতাংশে পৌঁছায়।
ফিনল্যান্ড এখন ১২৪ মাইল দীর্ঘ ও ১৫ ফুট উঁচু সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ করছে, যার সঙ্গে থাকবে ক্যামেরা ও মোশন সেন্সর। রাশিয়াও পুরনো সোভিয়েত সামরিক ঘাঁটি সচল করছে বলে স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে।
যদিও উভয় দেশই প্রকাশ্যে বলছে তারা একে অপরের জন্য হুমকি নয়। তবে ফিনল্যান্ডের সামরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী আঞ্চলিক সংঘাতের সম্ভাবনা বেড়েছে। রাশিয়ার ‘আর্কটিক থেকে দক্ষিণ ইউরোপ’ পর্যন্ত বাফার জোন তৈরির অভিলাষ এই আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকে সীমান্ত বন্ধের পক্ষে। তবে যাদের পরিবার রাশিয়ায় রয়েছে, তারা মানসিক ও পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এই বিষয়ে ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ হিউম্যান রাইটসে ৯টি অভিযোগ মামলা বিচারাধীন আছে।