খাদ্য সংগ্রহে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা

খাদ্য সংগ্রহে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

গাজায় মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। খাদ্যের অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি। কেু কেউ খাদ্য সংগ্রহে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন। চার সন্তানের জনক খালিল দুশিন এমনই এক পরিস্থিতিতে প্রাণ হারান। পরিবারকে একমুঠো খাবার এনে দেওয়ার জন্য তিনি গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) পরিচালিত নেতজারিম করিডোরের একটি সহায়তা কেন্দ্রে যান। কিন্তু তিনি আর জীবিত ফিরে আসেননি।

খালিলের স্ত্রী বলেন, “আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম না যেতে। খুব বিপজ্জনক অবস্থা ছিল। কিন্তু আমাদের ঘরে আর কোনো খাবার ছিল না। দুপুরে এক প্লেট ভাত খেয়ে সে বেরিয়েছিল। আর ফিরে আসেনি।”

এমন ঘটনা শুধু খালিলের নয়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জীবন ঝুঁকিতে ফেলে এই তথাকথিত ‘সহায়তা কেন্দ্রে’ যাচ্ছেন, যেখানে অনেকে আর ফিরে আসেন না। স্থানীয়রা এই কেন্দ্রগুলোকে বলছেন “নো রিটার্ন জোন”।

আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (UNRWA) প্রধান এই বিতরণ ব্যবস্থাকে ‘মরণফাঁদ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, এই সহায়তা কেন্দ্রগুলো শত শত মৃত্যুর জন্য দায়ী।

নেতজারিম করিডোর, যা একসময় গাজার ক্ষুধার্ত জনগণের জন্য 'লাইফলাইন' হিসেবে পরিচিত ছিল, তা এখন মৃত্যু পথে পরিণত হয়েছে। হতাশাগ্রস্ত ও ক্ষুধার্ত মানুষ বাধ্য হয়ে এই কেন্দ্রগুলোতে যাচ্ছেন কেবল কিছু খাবারের আশায়।

এই ঘটনার পেছনে ইসরায়েলি বাহিনীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই সহায়তা কেন্দ্রে হামলা মানবতার চরম লঙ্ঘন। খাদ্য সংগ্রহে যাওয়াই এখন হয়ে উঠেছে প্রাণ-ঝুঁকির নামান্তর।


সম্পর্কিত নিউজ