আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক স্থবির

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইরান দীর্ঘদিন ধরে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে সুরক্ষিত রেখেছে। তবে সাম্প্রতিক হামলার পরে পুনরায় আলোচনায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আলহাম কাদি জানান, ইরানে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোকে মূলত মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “ট্রাম্পের এমন আচরণকে অনেকেই তাঁর নিজেকে গুরুত্বপূর্ণভাবে তুলে ধরার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।”
ইরান দীর্ঘদিন ধরে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে সুরক্ষিত রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। “ফোর্ডোর মতো কেন্দ্রগুলো এমনভাবে নির্মিত, যা সহজে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে যদি হামলা সফলই হতো, তবে এতটা অতিরঞ্জন কেন?” – বলেন কাদি।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (IAEA) পরিদর্শনের অনুমতি দিচ্ছে না ইরান। বিষয়টি নিয়ে কাদি বলেন, “যেসব সহযোগিতা আমরা বছরের পর বছর ধরে করেছি, তা-ই আজ আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। যুদ্ধে আক্রান্ত হওয়ার পর আমাদের আরও চিন্তাভাবনা করে এগোতে হবে।”
তিনি আরও জানান, কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন পুরোপুরি স্থবির হয়ে গেছে। “যখন যুদ্ধ শুরু হয়, তখন আলোচনার টেবিল আর টিকে থাকে না। ট্রাম্প মিথ্যা বলছেন, আর আমরা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছি – এখন আবার আলোচনায় বসা অসম্ভব,” বলেন কাদি।
ইরান সরকার যদি আবারও কূটনীতি নিয়ে এগোতে চায়, তবে তাদের জনগণকেও জবাব দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। কারণ যুদ্ধের ক্ষতি কেবল সরকারের নয়, এটি পুরো জাতির ওপর প্রভাব ফেলেছে। ফলে ভবিষ্যতের যেকোনো পদক্ষেপে ইরানকে তার স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।