ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০ জনের রাষ্ট্রীয় জানাজা আয়োজন করলো ইরান

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইসরায়েলি হামলায় নিহত প্রায় ৬০ জনের রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নিতে তেহরানের কেন্দ্রীয় চত্বরে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পারমাণবিক বিজ্ঞানী, সামরিক ও গোয়েন্দা কমান্ডার, নাগরিক ও শিশু। ইরান বলছে, এই জানাজা ১৯৮৮ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর দেশটির সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় শোকানুষ্ঠান।
বিশেষ এক ট্রাকে শিশুদের কফিন বহনের দৃশ্য অনেক ইরানির জন্য ছিল অত্যন্ত আবেগঘন ও ঐতিহাসিক। শিয়া রাজনৈতিক মতবাদের ইতিহাসে কারবালার ঘটনার সঙ্গে একে তুলনা করা হচ্ছে। এতে করে জনসাধারণের সামনে নিহত শিশুদের কফিন প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ইরান সরকার দেশের ভেতরে ও বাইরের বিশ্বে তাদের জনসমর্থন দেখাতে চাচ্ছে।
জানাজায় অংশ নিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় ইরানি নেতারা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরান রেভ্যুলুশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি, অ্যারোস্পেস বিভাগের কমান্ডার হাজিজাদেহ, গোয়েন্দা শাখার নেতৃবৃন্দ এবং ১১ জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী। ইসরায়েলি বিমান হামলায় হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, আবাসিক ভবন ও সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি সত্যিই পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যেতে চান, তবে তাঁকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রতি অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। খামেনি শুধু একজন ধর্মীয় নেতা নন, তিনি ইরানের রাজনৈতিক, সামরিক ও আধ্যাত্মিক প্রধান। শিয়া মতবাদের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন, তিনি দ্বাদশ ইমামের প্রতিনিধিত্ব করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খামেনিকে অসম্মান করলে চুক্তি আলোচনার দরজাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, শেষ পর্যন্ত তিনিই সিদ্ধান্ত দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হবে কি না।