তুরস্ক থেকে দেশে ফিরলো ২০ লাখ সিরীয় শরণার্থী

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তের বাব আল-হাওয়া সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্টে এখন মানবপ্রবাহের চিত্র বদলে গেছে। এক সময় যারা বোমা হামলা ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে যারা দেশ ছেড়েছিলেন, এখন তারা ফিরছেন নিজভূমে।
আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বদেশে ফিরে আসা অসংখ্য নাগরিক। তারা বলছেন, “আমরা অন্যায় ও ধ্বংস থেকে পালিয়ে তুরস্কে গিয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। দেশে ফিরতে পেরে সম্মান ও পরিচয় ফিরে পেয়েছি।”
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ লাখেরও বেশি সিরিয়ান উদ্বাস্তু ও বাস্তুচ্যুত মানুষ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। এর মধ্যে শুধু বাব আল-হাওয়া সীমান্ত দিয়ে ১.৫ লাখের বেশি সিরীয় নাগরিক তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছেন।
সীমান্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ২,০০০ জন মানুষ এই ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করছেন। তাদের জন্য সীমান্তে রয়েছে ২৪ ঘণ্টা সেবা, ফ্রি পরিবহন, এবং তুর্কি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা।
যদিও ফেরার পথ সহজ নয়, তবু প্রত্যাবর্তনের গতি থেমে নেই। অনেকেই বলছেন, ফিরে আসার উদ্দেশ্য শুধু জমি বা বাড়ি ফিরে পাওয়া নয়, বরং সম্মান ফিরে পাওয়া এবং দেশ গড়ার অংশীদার হওয়া।
এই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া প্রমাণ করছে, যারা একসময় দেশ ছেড়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যেও দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা আজও জীবন্ত। কঠিন বাস্তবতা সত্ত্বেও তারা বিশ্বাস করেন সেইসব মানুষেরা ফিরে আসে যারা ফিরতে সাহস করে।