ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যেও থাই জনগণ ভিক্টরি মনুমেন্ট এলাকায় জড়ো হন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রায় ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ বিক্ষোভকারী এই প্রতিবাদে অংশ নেন। 

আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে, তিনি কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন-এর সঙ্গে একটি টেলিফোন কথোপকথনের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছেন। ওই কথোপকথনে তিনি হুনসেনকে ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করেন এবং থাই সেনাবাহিনীকে ‘বিরোধী পক্ষ’ বলে উল্লেখ করেন।

বিক্ষোভকারীদের ভাষ্যমতে, প্রধানমন্ত্রী শুধু কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, সামগ্রিকভাবে দেশ পরিচালনায়ও ব্যর্থ। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আসলে তার প্রভাবশালী ও বিতর্কিত পিতা থাকসিন সিনাওয়াত্রার ‘পুতুল’ হিসেবে কাজ করছেন। থাকসিন থাইল্যান্ডে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দু।

এছাড়া, বিক্ষোভে এক সময়কার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রেড শার্ট এবং ইয়েলো শার্ট উভয় গোষ্ঠী উপস্থিত থাকায় বিষয়টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে তরুণদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম, যা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রার অবস্থান এখন নড়বড়ে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সংবিধানিক আদালতের একটি সিদ্ধান্ত তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদি তদন্ত শুরু হয়, তবে রাজপথের এই আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।