পশ্চিম জেরুজালেম থেকে এক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হারেতজ সাংবাদিক নীর হাসান জানান, গত কয়েক মাসে গাজায় খাদ্য সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ইতোমধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি হতাহত হয়েছে। হাসান বলেন, এই ঘটনাগুলোর পেছনে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) একটি ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক ফায়ার পলিসি’ দায়ী।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষুধার্ত নিরস্ত্র জনতাকে সরিয়ে দিতে সরাসরি গুলি চালানো হয়েছে। তারা এই তথাকথিত ‘ফায়ার কমিউনিকেশন’ নীতির আওতায় সেনারা জনসাধারণকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। হাসান বলেন, “এটি শুধু একজন স্নাইপারের ইচ্ছাকৃত গুলি নয়, এটি একটি কৌশল—যা উপরের স্তর থেকে অনুমোদিত।”

এদিকে, ইসরায়েলি সমাজ ও সেনাবাহিনীর ভেতর থেকেও এই নীতির ন্যায়সংগততা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এখনো বেশিরভাগ ইসরায়েলি এই যুদ্ধকে ‘ন্যায্য’ বলে মনে করে, তথাপি সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় অনেকের বিবেককে নাড়া দিচ্ছে।

হাসান আরও জানান, ইসরায়েলি মূলধারার গণমাধ্যমে গাজার মানবিক সংকট নিয়ে তেমন কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় না, যা জনগণকে প্রকৃত চিত্র থেকে দূরে রাখে।