আদা চাষে হতাশ কৃষক, ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্দশা চরমে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
নাইজেরিয়ায় আদার পচা রোগ বা ব্লাইট ডিজিজ ছড়িয়ে পড়ায় হাজার হাজার কৃষক চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কৃষক ইমানুয়েল মানুর ফসল প্রায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় এই ছত্রাকঘটিত রোগে। মাটির নিচেই আদা পচতে শুরু করে। এতে করে শুধু ফসলের ক্ষতি নয়, আদার বীজতলাও সংকটের মুখে পড়ে। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম আকাশচুম্বী – যা ছোট কৃষকদের নাগালের বাইরে।
ইমানুয়েল এখন মাটির উর্বরতা বাড়াতে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। শুকনো পাতা মাটিতে চাপা দিয়ে রাখা হলে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা যায় এবং ফসল বেশি হয়। তিনি জানান, এই পদ্ধতিতে পাঁচ ব্যাগ পর্যন্ত বেশি আদা পাওয়া সম্ভব।
এই রোগে ইতোমধ্যেই এক লাখের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এবং মোট ক্ষতির পরিমাণ সাত মিলিয়ন ডলারের বেশি। ‘ইউথ ইন এগ্রিবিজনেস’ নামক কৃষক সংগঠনের মতে, দীর্ঘদিন একই জমিতে একই জাতের আদা চাষ করায় মাটি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং ফসল রোগের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। গত ৫০ বছর ধরে একই আদার জাত ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে এর উৎপাদনক্ষমতা অনেক কমে গেছে।
রপ্তানিতে বড় ধস নেমেছে। আগে নাইজেরিয়া বছরে ২৫০-৩০০ মিলিয়ন ডলারের আদা রপ্তানি করতো। বর্তমানে তা একদম কমে গেছে। ৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আদা আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
আদার দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগে যে পরিমাণ আদা ৮,০০০ নাইরায় পাওয়া যেত, এখন তাও ৩,৫০০ নাইরায় পাওয়া যাচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী আদা বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
সরকার কিছু রাজ্যে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে এবং উন্নত জাতের আদার গবেষণায় একটি কমিটি গঠন করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সুফল পেতে সময় লাগবে।