পুনর্গঠনের পথে নির্বাচন কমিশন: জোরালো হচ্ছে রাজনৈতিক দাবির চাপ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
নতুন করে পুনর্গঠনের পথে হাঁটছে দেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসির কাঠামো পরিবর্তনের জোর দাবি জানিয়ে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে ইসি পুনর্গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ঘটেছে।
গত ২২ জুন নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন আবেদন জমা দিতে গিয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “জনগণের দাবি এখন সময়ের বাস্তবতা—ইসি পুনর্গঠন করতেই হবে। আমরা বিকল্প কোনো পথ নিচ্ছি না।”
ওইদিনই বিকেলে দলের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকও করে। এর কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইসি পুনর্গঠনের বার্তা সিইসিকে পৌঁছে দিয়েছেন। সেই বার্তা পাওয়ার পর থেকেই সিইসি অফিসে অনুপস্থিত। যদিও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে, তিনি চিকিৎসাধীন।
গত বছরের ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির নির্দেশনায় গঠিত বর্তমান ইসিতে রয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ আরও চার সদস্য—আবদুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তবে মাত্র আট মাসের মাথায় কমিশন পুনর্গঠনের আলোচনা শুরু হওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গঠিত কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের বর্জনের মধ্যে সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু এর আট মাস পর গণআন্দোলনের মুখে সরকার পরিবর্তন ঘটে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর চাপ ও জনমতকে গুরুত্ব দিয়েই নীতিনির্ধারক মহল পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।