ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার কামারপট্টি এলাকায় চাঁদা না পেয়ে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা করেছেন, যদিও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযোগ অনুযায়ী, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের এক যুবককে গত শনিবার রাতে বাসায় ডেকে নিয়ে চাঁদার দাবিতে রাতভর নির্যাতন চালায় একটি সংঘবদ্ধ দল। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মো. ফরিদ উদ্দিন, তজুমদ্দিন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল এবং তার ভাই আলাউদ্দিন।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে যুবককে এসএস পাইপ ও রড দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরদিন সকালে তার স্ত্রী ঘটনাস্থলে এলে তাকে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলা হয়। টাকা না দেওয়ায় তাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভিকটিম জানান, ধর্ষকদের কাছে কেঁদে প্রাণভিক্ষা চেয়েও রক্ষা পাননি তিনি। ধর্ষণের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন এবং পরে তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান।
তজুমদ্দিন থানার ওসি মো. মহব্বত খান বলেন, “ঘটনার পর থানায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। তবে ভিকটিমের স্বামী একাধিক বিয়ে করায় পারিবারিক টানাপড়েন এবং আর্থিক লেনদেনের জটিলতাও ঘটনার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।
এ ঘটনা স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হোক।