মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এক বছর আগে এই জুলাই মাসে যে অভ্যুত্থান ঘটেছিল, তা ছিল জনগণের শক্তিতে রাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনার লড়াই। এই আন্দোলনের মূল চেতনা ছিল— ফ্যাসিবাদের বিলোপ ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।

তিনি আরও জানান, এই অনুষ্ঠানমালার উদ্দেশ্য শুধু অতীত স্মরণ নয়, বরং একটি নতুন শপথ। তিনি বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা চাই জাতির মধ্যে সেই ঐক্য ফিরিয়ে আনতে, যা গত বছরের আন্দোলনের সময় গড়ে উঠেছিল। আমাদের লক্ষ্য— জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংস্কারের সুফল নিশ্চিত করা।

প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমরা প্রতিবছর এই কর্মসূচি পালন করব। যেন আর কখনো জনগণকে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে না হয়। যেন স্বৈরাচার মাথা তুলেই তাৎক্ষণিক প্রতিরোধের মুখে পড়ে।

তিনি জানান, জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বছরের প্রতিটি আন্দোলনের দিন ও শহীদদের স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করা হবে। ছাত্র-জনতা, শ্রমিক, রিকশাচালকসহ যেসব মানুষ প্রাণ দিয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাদের স্বপ্ন পূরণে নতুন শপথ নেওয়া হবে।

শেষে তিনি বলেন, “চলুন, এই জুলাই মাসকে গণজাগরণের মাসে পরিণত করি। ঐক্যের, প্রত্যয়ের ও নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে এগিয়ে চলার মাসে পরিণত করি।