ফোনালাপ ফাঁসে বরখাস্ত থাই প্রধানমন্ত্রী

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আদালতের সিদ্ধান্তে ক্ষমতা হারালেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সাথে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপের জেরে দেশটির সাংবিধানিক আদালত তাকে বরখাস্ত করেছে।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পেতংতার্ন হুন সেনকে ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করতে শোনা যায় এবং তিনি থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেনা কমান্ডারকে নিজের ‘প্রতিপক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয় এবং তাকে বরখাস্তের দাবিতে জনমত তৈরি হয়।
সাংবিধানিক আদালত ৭-২ ভোটে পেতংতার্নকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেও, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় থাইল্যান্ডে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হলে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন একটি সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমা চান।
এই ফোনালাপের জেরে পেতংতার্নের প্রধান জোটসঙ্গী রক্ষণশীল ভুমজাইথাই পার্টি জোট ত্যাগ করেছে। ভুমজাইথাই পার্টির অভিযোগ, ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পেতংতার্নের আচরণ দেশের মর্যাদা ও সেনাবাহিনীর সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে।
উল্লেখ্য, পেতংতার্নকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হলে গত বছরের আগস্টের পর থেকে তিনি পিউ থাই দলের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হবেন যাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। এর আগে স্রেত্থা থাভিসিনকে মন্ত্রিসভায় একজন সাবেক আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল, যিনি একবার কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন।