যে প্রক্রিয়ায় তিব্বতের ধর্মগুরু দালাইলামা নির্বাচিত হয়

যে প্রক্রিয়ায় তিব্বতের ধর্মগুরু দালাইলামা নির্বাচিত হয়
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

ধর্মশালায় এক ধর্মীয় সমাবেশে ১৪তম দালাইলামা ঘোষণা দিয়েছেন যে, তাঁর পরবর্তী পুনর্জন্ম অর্থাৎ ১৫তম দালাইলামা নির্ধারণের ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তাঁর এ বক্তব্য স্পষ্ট করে দেয় যে, চীনের হস্তক্ষেপ এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য নয়।

তিব্বতি বৌদ্ধমতে, একজন দালাইলামা মৃত্যুর পর এক শিশুর দেহে পুনর্জন্ম গ্রহণ করেন। সেই শিশু খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি জটিল ধর্মীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। ১৪তম দালাইলামাও মাত্র দুই বছর বয়সে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল তিব্বতের এক কৃষক পরিবারে। তবে ১৯৫৯ সালে চীনা দখলদারিত্ব ও বিদ্রোহের পর তিনি ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

দালাইলামার দফতর "গাধেন পোট্রাং" প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে। দালাইলামা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, উত্তরসূরি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় চীনের কোনো হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না এবং ভবিষ্যতের দালাইলামা জন্ম নেবেন চীনের বাইরে, স্বাধীন বিশ্বের কোনো দেশে।

এই ঘোষণা তিব্বতিদের জন্য যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। বেইজিং দীর্ঘদিন ধরেই দালাইলামার উত্তরসূরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়, যা আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচিত হয়েছে।

তিব্বতের নির্বাসিত পার্লামেন্ট জানিয়েছে, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত হবে। দালাইলামার জীবদ্দশায় এ ধরনের ঘোষণা সাধারণত বিরল হলেও চীনের হস্তক্ষেপের কারণে প্রক্রিয়া এখনই স্পষ্ট করছেন তিনি।


সম্পর্কিত নিউজ