‘জাতীয় সরকারের গুঞ্জন’

‘জাতীয় সরকারের গুঞ্জন’
ছবির ক্যাপশান, ‘জাতীয় সরকারের গুঞ্জন’
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে চলমান নানা সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। ওই দিন সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক হয়। বুধবার হয়েছে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা বসবেন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘জাতীয় সরকারের গুঞ্জন

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে চলমান নানা সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। ওই দিন সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক হয়। বুধবার হয়েছে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা বসবেন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে।

গত সপ্তাহেও প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।

এই পরিস্থিতিতে গুঞ্জন, নির্বাচনের আগেই জাতীয় সরকার গঠন হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও অন্তর্বর্তী সরকার বহাল এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থাকবেন।

সেসময় উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন এনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া এবং উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

পত্রিকা

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘দেশের স্বার্থে সব দলের ঐক্য’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের অপপ্রচার, হস্তক্ষেপ ও উসকানির বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে দলগুলো।

তার আগে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বিভিন্ন ইসলামপন্থী দল, বাম দলসহ ৩৫টির মতো রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ সংলাপে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সংলাপের শুরুতে রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তা রুখে দিতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানান।

গত ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে একজন আইনজীবীকে হত্যার ঘটনা, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আরজি জানানো এবং সবশেষ আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটেছে।

পত্রিকা

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘সব দলকে একজোট থাকতে হবে’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের বর্তমান বাস্তবতা বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে সব দলকে একজোট থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমির ওই অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন,

“নতুন বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে সেটি ধামাচাপা দিয়ে ‘আরেক বাংলাদেশের’ কল্পকাহিনী রচনার অপচেষ্টা চলছে, এটি যে শুধু এক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে, তাও নয়। বড় বড় দেশের মধ্যেও এটি ছড়িয়ে গেছে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে তারা একটা কাল্পনিক বাংলাদেশ তৈরি করেছে দুনিয়ার সামনে, তাদের শক্তি এত বেশি। ক্রমে তারা মানুষকে এটিতে ভেড়াতে পারছে, নতুন কল্পকাহিনী তারা তৈরি করছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরাট অভ্যুত্থানটা তাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটি মুছে দিতে চান, আড়াল করতে চান। এটিকে নতুন ভঙ্গিতে দুনিয়ার সামনে পেশ করতে চান যেন আমাদের এখানে ভয়ঙ্কর কাণ্ড হয়ে গিয়েছে, সেখান থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।’

বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।

পত্রিকা

দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘উত্তেজনা কমাতে জরুরি পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ৫ই অগাস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একপ্রকার শীতল সম্পর্ক চলছে দিল্লির। স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে দুই দেশের এতো টানাপড়েন আগে দেখা যায়নি।

তবে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চায় দুই দেশ। এ পরিস্থিতিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা সফর করতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

কূটনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দুই রাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিরতা কমাতে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকটি খুবই জরুরি।

যদিও মিশ্রির এ সফরটি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের একটি নিয়মিত সফরের অংশ। তারপরও ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের পরিস্থিতি এবং শেষ পর্যন্ত যদি সফরটি হয় তাহলে দুই দেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর আসতে পারে।

মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দিল্লি সফরে রয়েছেন। সাত দিনের এ সফরে লু ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সফর করবেন।

ধারণা করা হচ্ছে, লুর দিল্লি সফরেও বাংলাদেশ বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। যার প্রতিফলন ঘটতে পারে পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকে।

পত্রিকা

আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, ‘এখনো সীমান্তে উত্তাপ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার তরুণকে নির্যাতন’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকায় আগুন দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা এখনো কমছে না।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে লাগোয়া সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে হত্যা ও এক তরুণকে নির্যাতন এবং আগরতলায় এক বাংলাদেশিকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে আগরতলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের কালাইরাগ সীমান্ত এলাকা থে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজিবি বলছে, তিনি কাঠ আনতে গিয়ে পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেছেন। তবে পরিবারের দাবি, আশরাফের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে।

পত্রিকা

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘খাদ্যশস্যের সরকারি বিতরণ বাড়েনি, মজুদ কমেছে ৩৯.৭৫%’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় খাদ্যশস্য বিতরণ ( টিসিবি, ওএমএস) বাড়েনি। উল্টো তা কমেছে।

বিতরণ না বাড়লেও দেশে সরকারি খাদ্যভাণ্ডারের মজুদ এখন দ্রুতগতিতে কমছে। গত চার মাসে দেশে খাদ্যশস্যের মজুদ কমেছে ৩৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

অভ্যন্তরীণ উৎস ও আমদানির মাধ্যমে চাল ও গম সংগ্রহ করে থাকে সরকার। খাদ্যশস্যের রাষ্ট্রীয় ভাণ্ডারে মজুদ টানা কমে আসার পেছনে প্রধানত সরকারিভাবে সময়মতো আমদানি করতে না পারাকে দায়ী করছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।

তাদের ভাষ্যমতে, দেশে গত কয়েক মৌসুমে খাদ্যশস্যের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে বলে বিগত সরকারের সময়ে বারবার দাবি করা হয়েছে। এর পরও দফায় দফায় চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।

সে হিসেবে এবারো বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য আরো আগে থেকেই সরকারিভাবে আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ ছিল।

সরকারের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে আমন মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সরকারিভাবে চাল আমদানির কার্যক্রম এরই মধ্যে অনেকটা এগিয়েছে। সুতরাং, সরকারি মজুদ নিয়ে এ মুহূর্তে উদ্বেগের কিছু নেই।

 

পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘DNA test finally cracks Harris Chy mystery’ অর্থাৎ, ‘ডিএনএ পরীক্ষায় অবশেষে হারিস চৌধুরীর রহস্য উন্মোচন’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার সাভারের একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি বিএনপি নেতা আবুল হারিস চৌধুরীর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

হাইকোর্টে জমা দেওয়া ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন থেকে পরিচয়ের সত্যতা সম্পর্কে জানা গিয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতের ডিএনএ তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর সাথে মিলে।

আদালতের আদেশের পর, চলতি বছরের ১৬ই অক্টোবর হারিসের লাশ উত্তোলন করা হয় এবং সিআইডির পরীক্ষাগারে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।

আইনজীবী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস তৎকালীন সরকারের রোষানল থেকে বাঁচতে ঢাকার একটি বাসায় আত্মগোপন ছিলেন।

৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২১-এ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত - মাহমুদুর রহমান - নামে ঢাকায় ছিলেন।

তিনি কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান।

তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হারিসের নামে কোনো ডেথ সার্টিফিকেট দেয়নি, দিয়েছিল মাহমুদুর নামে।

এ কারণে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি।

তবে ডিএনএ প্রতিবেদনের আলোকে সিলেটের একটি এতিমখানার কবরস্থানে দাফনের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

পত্রিকা

ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর, ‘পালিয়ে যাওয়া ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত জুলাই অগাস্টে আন্দোলন চলাকালীন দেশের কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা করেন বন্দিরা। বাইরে থেকে কোনো কোনো কারাগারে চালানো হয় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ।

এই পরিস্থিতিতে কারাগারগুলো থেকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিসহ বিচারাধীন মামলার ২২০০ বন্দি পালিয়ে যায়।

যার মধ্যে ১৫০০ জনকে গ্রেফতারের পর ফের কারাবন্দি করা হলেও এখনো ৭০০ বন্দি পলাতক রয়েছে।

বুধবার কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এসব তথ্য দেন।

তিনি জানান, পলাতক বন্দিদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েছে। এছাড়া আন্দোলনের পর ১১ জন জঙ্গি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়েছে।

এছাড়া, দেশের ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৭টি কারাগার এখনো ঝুঁকিপূর্ণ এবং কারাগারে সব সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি থাকে। ধারণাক্ষমতা ৪২ হাজার এখন যার সংখ্যা ৬৫ হাজার।

পত্রিকা

সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘ভীতি ছড়াচ্ছে লুণ্ঠিত অস্ত্র জেল পালানো আসামি’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত এক হাজার ৪১৯ আগ্নেয়াস্ত্র আর দুই লাখ ৬৩ হাজার ১৫৩ রাউন্ড গুলির নেই খোঁজ। জেল পালানো দাগি অন্তত ৭০০ আসামি এখনও 'নিখোঁজ'।

এত সংখ্যক অস্ত্র-গুলির হদিস না পাওয়া আর আসামি ধরতে না পারায় জনমনে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা শঙ্কা। এর মধ্যেই চিহ্নিত অপরাধীরা লুট করা অস্ত্র ব্যবহার করে একের পর এক অপকর্ম করেই যাচ্ছে।

সর্বশেষ মুন্সীগঞ্জের শ্রীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে সাহিদা ইসলাম নামে এক তরুণীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে গ্রেফতার করা হয়।

এর পর বেরিয়ে আসে, ৫ই আগষ্টঢাকার ওয়ারী থানা থেকে লুট করা অস্ত্রে গুলি চালিয়ে সাহিদাকে হত্যা করেন তৌহিদ।

এর আগে মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পেও একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মহড়া দেয় মাদক কারবারিরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র বলছে, কাঠামো দেখে বোঝা যায়, বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ছিল লুণ্ঠিত।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িতে হামলা ও লুট হয়। পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য বলছে, সব মিলিয়ে লুট করা হয় পাঁচ হাজার ৭৫০ অস্ত্র। গোলাবারুদ লুট হয়েছে ছয় লাখ ৫১ হাজার ৬০৯ রাউন্ড।

যৌথ অভিযানে চার হাজার ৩৩১টি অস্ত্র জব্দ করা হলেও এখনও বেহাত সেভাান পয়েন্ট ৬২ বোরের ১২৯টি রাইফেল, ৩০টি এসএমজি, চারটি এলএমজিসহ বিভিন্ন ধরনের এক হাজার ৪১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। এ ছাড়া ৫ই অগাস্ট গণভবন থেকে নিরাপত্তা সংস্থা এসএসএফের বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র খোয়া যায়।

 


সম্পর্কিত নিউজ