রাশিয়ার তৈরি বিশ্বের প্রথম এমআরএনএ ক্যান্সার টিকা আসছে সেপ্টেম্বরে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
মারণব্যাধী ক্যান্সারের বিরুদ্ধে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে রাশিয়া। দেশটির গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্তন, কিডনি ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকরী একটি টিকা আবিষ্কার করেছে। এই টিকা বিশ্বের প্রথম এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি ক্যান্সার প্রতিষেধক। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই টিকাটি বিশ্ববাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাসকে জানিয়েছেন গামালিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ।
গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অনুজীব ও চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। এই প্রতিষ্ঠানই বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ তৈরি করেছিল, যা মহামারির সময়ে ৫৫টিরও বেশি দেশে ব্যবহৃত হয়েছিল। এবার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের বিরুদ্ধে টিকা উদ্ভাবন করে আবারও আলোচনায় গামালিয়া।
গামালিয়া ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে টিকাটির ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছে। আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গের মতে, আগস্ট মাসের মধ্যেই অনুমোদন মিলে যেতে পারে। এর ফলে সেপ্টেম্বর থেকেই চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকা ব্যবহার শুরু করা যাবে।
এই টিকা এমআরএনএ (mRNA) প্রযুক্তিতে তৈরি, যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। টিকা দেওয়ার পর এটি দ্রুত কাজ শুরু করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষিত করে। এর ফলে শরীর ক্যান্সার কোষগুলো শনাক্ত করে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।
টিকাটি প্রাথমিক ও মধ্যম পর্যায়ের ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর হবে। তবে চূড়ান্ত পর্যায়ের রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি কিছু উপকার করতে পারে।
২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাশিয়ায় বর্তমানে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতি বছর নতুন করে ৬ লাখ ২৫ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই টিকা রাশিয়া এবং বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার গামালিয়া ইনস্টিটিউটের এই উদ্ভাবন ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। সেপ্টেম্বরে টিকাটি বাজারে আসার পর বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার রোগীদের জন্য এটি একটি বড় আশার বার্তা বয়ে আনবে। তবে টিকার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।