আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালেবান সরকারের নিয়োগকৃত নতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করার মাধ্যমে দেশটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে যা আন্তর্জাতিক মহলে তালেবান সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।"
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে একটি "সাহসী পদক্ষেপ" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, "রাশিয়া সকল দেশের আগে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে, এটি অন্যদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হবে।"
উল্লেখ্য, তালেবান সরকারকে এখনও জাতিসংঘসহ বিশ্বের কোনো বড় সংস্থা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রও তালেবান নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে এবং আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করে রেখেছে, যার ফলে দেশটির আর্থিক ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই রাশিয়া ভিন্ন পথে হেঁটেছে। সে সময় রাশিয়া এই পরিস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছিল এবং এরপর থেকেই তারা তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু করে।
তালেবান প্রতিনিধিরা ২০২২ এবং ২০২৪ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অর্থনৈতিক ফোরামে অংশ নেন। ২০২৩ সালে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মস্কো সফর করে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গত বছরের জুলাইয়ে (২০২৪) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে "সন্ত্রাসবিরোধী মিত্র" হিসেবে অভিহিত করেন। এর আগে, ২০০৩ সালে রাশিয়া তালেবানকে "সন্ত্রাসী সংগঠন" হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও, ২০২৪ সালের এপ্রিলে রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট তালেবানকে "সন্ত্রাসী সংগঠন" হিসেবে থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।