পাগলা মসজিদে এখন অনলাইনেও দান করা যাবে

পাগলা মসজিদে এখন অনলাইনেও দান করা যাবে
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সে এখন থেকে দান করা যাবে অনলাইনেও। মসজিদটির নামে ওয়েবসাইট চালু করে এমন ঘোষণা দিয়েছে মসজিদ কতৃপক্ষ।

আজ, শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় পাগলা মসজিদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে www.paglamosque.org নামের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের সভাপতি এবং কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।

এই উদ্যোগের ফলে এখন দেশ-বিদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই মানুষ পাগলা মসজিদে তাদের দানের টাকা পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও, ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে পাগলা মসজিদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, নামাজের সময়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাবে।

পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু অসাধু চক্র পাগলা মসজিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল। অনেকেই দান করতে চাইলেও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম না থাকায় তা করতে পারছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে, দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়— এমন বিশ্বাসে দেশ-বিদেশের মানুষ যে পাগলা মসজিদে দান করতে আসেন, তাদের সেই বিশ্বাসকে আরও সহজ, নিরাপদ আর ডিজিটাল করতে এবার চালু করা হলো এই অনলাইন ডোনেশন ওয়েবসাইট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিজাবে রহমত, মসজিদ কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এরশাদ মিয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী, আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদারসহ পাগলা মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা হলো এই পাগলা মসজিদ। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে এর অবস্থান। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এখানে খাস নিয়তে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। এ কারণেই দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে অর্থ, স্বর্ণালংকার, এমনকি গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগিও দান করে থাকেন।


সম্পর্কিত নিউজ