নাইম কাসেম বলেন, "যারা প্রতিরোধ গোষ্ঠীর (হিজবুল্লাহ) অস্ত্র সমর্পণের দাবি করে, তাদের কাছে প্রথমে আগ্রাসন প্রত্যাহারের দাবি করুন। দখলদারিত্বের সমালোচনা না করে কেবল যারা প্রতিরোধ করে তাদের অস্ত্র ত্যাগ করার দাবি করা অযৌক্তিক।"
তিনি আরও বলেন, "যারা আত্মসমর্পণের প্রস্তাব গ্রহণ করে তাদের সেই সিদ্ধান্তের পরিণতি ভোগ করতে হবে, তবে আমরা কখনই তা গ্রহণ করব না।"

হিজবুল্লাহর মহাসচিব স্পষ্ট বার্তা দেন, "মাতৃভূমি রক্ষার জন্য কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না, এবং যখন প্রতিরক্ষার জন্য একটি গুরুতর এবং কার্যকর বিকল্প প্রস্তাব করা হয়, তখন আমরা সমস্ত বিবরণ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।"

এর আগে গত ১৯ জুন সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত থমাস ব্যারাক বৈরুত সফরকালে লেবাননের কর্মকর্তাদের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করেন। জানা গেছে, লেবানন এই প্রস্তাবের খসড়া প্রতিক্রিয়া পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বুধবার একজন লেবানীয় কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, ব্যারাকের প্রস্তাবটি তিনটি প্রধান বিষয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো লেবাননের রাষ্ট্র কর্তৃক অস্ত্রের একচেটিয়া অধিকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তার মতে, প্রস্তাবটিতে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, চোরাচালান রোধ, শুল্ক বৃদ্ধি এবং ক্রসিং ও জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধাগুলোতে পদ্ধতি কঠোর করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

হিজবুল্লাহ এই প্রস্তাবের বিপরিতে অবস্থান করছে। এই কঠোর অবস্থান আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।