আজ শনিবার (৫ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে এবং এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছে।"


মালয়েশিয়ার পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে ৩৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তারা মূলত মালয়েশিয়ার কারখানা, নির্মাণ এবং সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন।

ইসমাইল জানান, "জঙ্গিবাদে জড়িত" থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত এই দলটি সিরিয়া ও বাংলাদেশে "ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সেলগুলোকে" অর্থ পাঠাত।


এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো তিন বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।


বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, "মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছে, উগ্র জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি তারা ৩৬ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশন বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ব্যক্তিদের পরিচয় ও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তথ্য চেয়েছে।"


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে যে, "আটককৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাকিরা পরবর্তী তদন্ত কিংবা ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছেন।"

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, "পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মধ্যে আছে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশন। যেকোনো প্রবাসী বাংলাদেশির সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তা দেবে বাংলাদেশ হাই কমিশন।"


মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান ইসমাইলের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে, ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং ১৬ জন এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।