সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ হাসান। তিনি অভিযোগ করেন, "অহংকারপূর্ণভাবে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে সংগঠনের নেতৃত্ব কেনাবেচার অপচেষ্টা চলছে। সংগঠন কোনো ব্যক্তির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। যারা অর্থের বিনিময়ে নেতৃত্ব দখল করতে চায়, তারা আসলে গণতন্ত্র নয়, বরং লেনদেনের বাজার বসানোর চেষ্টা করছে।"

নাহিদ হাসান আরও অভিযোগ করেন, নতুন উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক পদে যাকে বসানো হয়েছে, তার আন্দোলনের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার সন্তান।
এমনকি আন্দোলনের সময় আহত কর্মীদের বাদ দিয়ে নেতৃত্ব বণ্টনের অভিযোগও তেলোন তিনি। আহত কর্মী অমিত হাসান, আশিকুর রহমান, আশরাফ আলী, হাসান, সিফাতসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, "আন্দোলনের প্রথম সারির কর্মীরা আজ অবহেলিত। অথচ যারা কোনোদিন আন্দোলনের পাশে ছিল না, তারা টাকার জোরে নেতৃত্বে এসেছে।"

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য সচিবসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।


সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জুলাই যোদ্ধা জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক মেহেদী হাসান বাপ্পী, যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মামুনুর রহমান সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।