বুধবার (২৯ জানুয়ারি ) রাত ১১ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাজন ও রনিকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি চৌকস দল। পরবর্তীতে রাত ৩ ঘটিকায় গ্রেফতারকৃত রনির দেখানো মতে রাজধানীর পল্লবী থানাধীন স্বপ্ননগর নতুন রোডের বাদশা মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে টিনের বেড়ার নিচ থেকে ব্লেড বাবুর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।

ডিবি-মিরপুর বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পল্লবীর বঙ্গবন্ধু কলেজের পশ্চিম পাশের নতুন রাস্তায় গত ২০ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. তারিখ বেলা ৩ টার পরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং চুরি ও ছিনতাইয়ের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে সন্ত্রাসী রাজন গ্রুপ কর্তৃক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও মারধরে মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মঞ্জুরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী রাবেয়া আক্তার মিম বাদী হয়ে ২১ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. তারিখে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ডিবি-সূত্রে আরও জানা যায়, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং ২০ জানুয়ারি রাত ১২ টার কিছুক্ষণ আগে পল্লবী থানাধীন সিরামিক রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার অন্যতম আসামি মো. মুরাদ (২৭) কে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগ। পরবর্তীতে ২৪ জানুয়ারি মিরপুর-১০ নম্বর এলাকা হতে ইরফান হোসেন তুফান (১৯) কে এবং ২৬ জানুয়ারি রাত ১ ঘটিকায় মামলার অন্যতম আসামি রাব্বি ওরফে কুত্তা রাব্বি (১৮) কে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগ। পরবর্তীতে ২৬ জানুয়ারি রাত ৮ ঘটিকায় পল্লবী থানাধীন কালাপানি এলাকা থেকে আরেক আসামি সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে বহুল আলোচিত এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত রাজন ও রনির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।