গত ৩ জুলাই ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের স্বাক্ষরে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় (বিজি প্রেস) থেকে এ গেজেট প্রকাশিত হয়। এতে জানানো হয়, যেহেতু আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে এবং তারা বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে বিরত থাকতে আত্মগোপন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে, সেহেতু ‘ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৮’-এর ৬(১৩) ধারায় তাদের আগামী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যথায়, আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২০ জুলাই।

দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা:

২০২৫ সালের ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোর অভিযোগ অনুযায়ী, পূর্বাচল এলাকায় রাষ্ট্রীয় প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেরা কিংবা ঘনিষ্ঠদের নামে প্লট গ্রহণ করা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান এসব মামলার বাদী এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন:

শেখ হাসিনা

শেখ রেহানা

সজীব ওয়াজেদ জয়

রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিক

পুতুল

আজমিনা সিদ্দিক

সহ মোট ১০০ জন ব্যক্তি


একটি মামলায় ১২ জন, অন্যগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন করে আসামি রয়েছেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে অনেকেই বর্তমান ও সাবেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তাদের আত্মীয়স্বজন।

দুদকের প্রধান প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, “প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ঘটনায় ছয়টি মামলায় আদালত গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন এবং বিজি প্রেস থেকে তা প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই এসব মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিনের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে, অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে।

প্লট বরাদ্দে উচ্চপর্যায়ের ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মামলাগুলোর বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ম অনুযায়ী চলবে বলে জানানো হয়েছে।