জামায়াত একদিকে প্রার্থী দেয়, অন্যদিকে নির্বাচন পেছাতে চায়: রুহুল কবীর রিজভী

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
নির্বাচন সামনে রেখে একদিকে জামায়াতে ইসলামি দেশের ৩৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, অন্যদিকে নির্বাচন পেছানোর দাবি করছে—এমন আচরণকে ‘দ্বিচারিতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “একদিকে জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, আরেকদিকে ভোট পেছানোর দাবি করছে—এটা দ্বিচারিতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রশ্ন হলো, কেন তারা নির্বাচন পেছাতে চায়? সরকারের মেয়াদ যেখানে ৫ আগস্ট শেষ হচ্ছে, সেখানে যদি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হয়, তবে তো পর্যাপ্ত সময় থাকছে। তাহলে পেছানোর যৌক্তিকতা কোথায়?”
তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল জামায়াত। এরপর ১৯৮৬ সালে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়। ইতিহাস প্রমাণ করে, তারা কখনোই জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেয়নি।”
রিজভী অভিযোগ করেন, “জামায়াত বরাবরই নিজের স্বার্থে রাজনীতি করেছে। জনগণ তাদের কাছে মূল্যহীন। তাই নির্বাচনেও তাদের সাফল্য আসেনি।”
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আর যারা এক সময় গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন, তারাও এখন অবস্থান বদলেছেন। কারবালার ইতিহাস থেকে কেউ কেউ হয়তো শিক্ষা নেয়নি।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, “আমরা চাই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন সম্পন্ন হোক এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক।”
রিজভীর বক্তব্যে নির্বাচন পেছানোর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।