আজ সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের আহ্বায়ক মো. খোরশেদ আলম এই ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্যে খোরশেদ আলম নৃশংস ও ঘৃণ্য এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, "অবিলম্বে সব আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।"
তিনি আরও জানান, "জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের কোনো সদস্য সোহাগ হত্যা মামলায় আসামিদের পক্ষে আইনি লড়াই করবে না। একইসঙ্গে, আমরা সকল আইনজীবীকে এই মামলার আসামিদের পক্ষে না দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।"

তিনি অভিযোগ করে বলেন, "মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যার সিসি ফুটেজে সবকিছু স্পষ্টভাবে দেখা গেলেও, কোনো এক অজ্ঞাত কারণে এর সমস্ত দায়ভার বাংলাদেশের সবচেয়ে নিপীড়িত দল বিএনপির ওপর চাপানো হচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে আপত্তিকর স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসর এবং অদৃশ্য কিছু শক্তি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে, কোনো রকম তদন্ত বা অনুসন্ধান ছাড়াই, চাঁদাবাজির মতো এক ঘৃণ্য অপবাদ আরোপ করে বিএনপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে।"

খোরশেদ আলম আরও উল্লেখ করেন, "২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত ও মজলুম দল। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি এই দলকে নিশ্চিহ্ন করতে এমন কোনো অত্যাচার ও নিপীড়ন নেই যা তারা করেনি।" তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, "এর পরেও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, সততা ও আদর্শে অনুপ্রাণিত লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী শত অত্যাচারের স্টিমরোলার সহ্য করে বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।"

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালন করেন ফোরামের সদস্য সচিব নিহার হোসেন ফারুক। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন, আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল খালেক মিলন, ইলতুতমিশ এনিসহ অনেকে।