সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙছে শিশু একাডেমি, ক্ষুব্ধ ইতিহাস সচেতনরা

সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙছে শিশু একাডেমি, ক্ষুব্ধ ইতিহাস সচেতনরা
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

ময়মনসিংহ শহরের পুরানগুদারাঘাট এলাকায় অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায়ের বাড়িটি ভাঙা শুরু করেছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি শুধু একটি ভবন নয়, উপমহাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ভাঙার ঘটনায় প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাসবিদ ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ এবং উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

বাড়িটি একসময় শিশু একাডেমির জেলা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু ২০১০ সালের পর ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। শিশু একাডেমি কর্তৃপক্ষের দাবি, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তারা বিকল্পভাবে একটি ভাড়াবাড়িতে কার্যক্রম চালাচ্ছিল। এখন সেই ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছে। তাই তারা সরকারি অনুমোদন নিয়ে পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বলছে, ভবনটি এখনো তালিকাভুক্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন না হলেও, নতুন জরিপে এটি সংরক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা ছিল। অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমির সঙ্গে আলোচনা চলছে।

এদিকে, ভাঙার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলেছেন, এই ভবনটি সংরক্ষণ করে শিশু একাডেমির কার্যক্রম চালানো যেত। কেউ কেউ বলেছেন, ময়মনসিংহের প্রাচীন স্থাপনাগুলো একে একে হারিয়ে যাচ্ছে—যা শহরের ইতিহাস ও পরিচয়ের জন্য বড় হুমকি।

বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের দাদু উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এই বাড়িতে ছিলেন দত্তক পুত্র হিসেবে। হরিকিশোর রায়ের স্নেহে তিনি বড় হন এবং ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। এই সম্পর্কেই বাড়িটির রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব।

লেখক ও গবেষক ফয়েজ আহমেদ বলেন, “এ ধরনের স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা নয়, সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে তাদের ঐতিহ্যের শেকড় কোথায় ছিল।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ