ইউরোপে সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী গড়তে চায় যে দেশ

ইউরোপে সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী গড়তে চায় যে দেশ
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ সম্প্রতি ইউক্রেন সফর করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। এই যৌথ সফর ইউক্রেনের প্রতি ইউরোপীয় দেশগুলোর অঙ্গীকারের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ইউরোপীয় নেতৃত্বে জার্মানির সক্রিয় ভূমিকাও তুলে ধরে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মিয়ার্জ পার্লামেন্টকে রাজি করিয়ে রক্ষণশীল আর্থিক নীতিমালা থেকে সরে এসে প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল বিনিয়োগ অনুমোদন করিয়েছেন। সফরের সময় মিয়ার্জ ও স্টারমারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জার্মানির প্রতিরক্ষা বাজেটের আকার এবং সেনাবাহিনীকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণায় ফ্রিডরিখের অভিপ্রায় স্পষ্ট। ব্রিটেন ও ফ্রান্স এ পদক্ষেপে সন্তুষ্ট। বিশ্লেষকদের মতে, ফ্রিডরিখ ও কিয়ার স্টারমার ইউরোপের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দুই স্তম্ভ, যাঁরা পারস্পরিক সমঝোতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী।

সম্প্রতি রোমে এক সম্মেলনে ফ্রিডরিখ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনানুষ্ঠানিক প্রতিনিধি হিসেবে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বার্তা দিয়েছেন। পুতিনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আমরা হার মানব না।” অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তিনি আহ্বান জানান, “ইউরোপের পাশে থাকুন।”

তবে বাণিজ্য শুল্কের প্রশ্নে ইউরোপ ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান, তবে ‘অতিরিক্ত শুল্ক’ আরোপ করা হলে তার জবাব দিতেও প্রস্তুত— কারণ এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে জার্মানি।

অন্যদিকে, ব্রেক্সিটের ফলে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিজস্ব বাণিজ্য চুক্তি করেছে এবং কিয়ার স্টারমারও ওয়াশিংটনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তবে বৃহস্পতিবারের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল মিয়ার্জ ও স্টারমারের মধ্যকার ইউক্রেন ও ন্যাটো বিষয়ক ঐকমত্য, যা দুই নেতার মধ্যে ‘মনের মিল’ গড়ে তুলেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ