পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলেই ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’: ইরান

পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলেই ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’: ইরান
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে বলে সতর্ক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আলজাজিরা আরবিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।

কাতার সফরকালে আলজাজিরা আরবিকে এই সাক্ষাৎকার দেন আরাগচি।  ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রেকে তিনি সতর্ক করে বলেন যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সামরিক হামলা চালানো হবে যুক্তরাষ্ট্রের করা সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক ভুলগুলোর একটি।

তিনি বলেন, ইরান যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং এটি এই অঞ্চলকে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ইরানের পারমাণবিক স্থানগুলোতে হামলা করার ক্ষমতা দিতে পারেন বলে ইরানে উদ্বেগ রয়েছে। পাশাপাশি তার দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হতে পারে বলে এমন আশঙ্কাও রয়েছে।
আরাগচি দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জাসিম আল থানির সাথে দেখা করেছেন এবং প্রধান আঞ্চলিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জনে কাতারের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার আমরা অত্যন্ত প্রশংসা করি। আমি আশা করি অন্যান্য সব ইস্যুও সমাধান হবে।

কাতারে থাকাকালীন হামাস কর্মকর্তাদের সাথেও দেখা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইসরায়েলের যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিরা গাজায় "বিজয়" অর্জন করেছে। সারা বিশ্ব যে সব হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছে, তারপরও ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে এবং তাদের মূল্যবোধ ও নীতিমালা সমুন্নত রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি এটি একটি বিজয়।
আরাগচি বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হামাসকে নির্মূল এবং তাদের বন্দিদের মুক্ত করতে তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা হামাসের সাথে বসে আলোচনা করতে বাধ্য হয়। এটিই হামাসের জন্য বিজয়।
 


সম্পর্কিত নিউজ