সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ঘুমের কৌশল, কি বলছে বিজ্ঞান!!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আধুনিক জীবনের দ্রুতগামী রেশে রাতের ঘুম হারানো মানুষদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। হাজার চেষ্টা করেও যখন চোখ বন্ধ করলেও ঘুম আসে না, তখন অনেকেই হতাশায় পড়েন। কিন্তু সম্প্রতি গবেষণার আলোকে এক নতুন, সহজ ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আলোচনায় এসেছে, যার নাম 'জ্ঞানীয় পরিবর্তন' বা Cognitive Shuffling। এটি এমন একটি কৌশল, যা মস্তিষ্কের অব্যাহত অস্থিরতা ভেঙে ফেলতে সক্ষম এবং ধীরে ধীরে ঘুমের স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনে।
'জ্ঞানীয় পরিবর্তন' মূলত মস্তিষ্ককে এলোমেলো শব্দ ও ছবি কল্পনায় ব্যস্ত রেখে চাপমুক্ত করার পদ্ধতি। এর মাধ্যমে চিন্তাভাবনা এক জায়গায় আটকে না থেকে ধারাবাহিকভাবে বদলাতে থাকে, যা ঘুমের জন্য প্রস্তুত হতে মস্তিষ্ককে সহায়তা করে।
এই কৌশলটি খুবই সরল ও কার্যকর। প্রথমে একটি ছোট শব্দ বেছে নিতে হয়, যেমন 'কেক'। এরপর প্রতিটি অক্ষরকে আলাদা করে নতুন শব্দের সাথে যুক্ত করতে হয় — 'ক' থেকে 'কলম', 'এ' থেকে 'এলোভেরা গাছ', 'ক' থেকে 'কলকাতা'—এভাবে প্রতিটি শব্দকে মনে কল্পনায় জীবন্ত চিত্র হিসেবে ধারণ করতে হয়। এ ধরণের ধারাবাহিক মানসিক খেলা মস্তিষ্ককে ধীরে ধীরে চাপমুক্ত করে এবং ঘুমের আগ্রহ বাড়ায়।
বিশ্বজুড়ে গবেষকরা এ পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছেন। মস্তিষ্কের 'সিরিয়াল বৈচিত্র্যময় কল্পনা' প্রযুক্তি হিসেবে পরিচিত এই পদ্ধতিটি ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে অপ্রয়োজনীয় চিন্তা ও উদ্বেগের স্থান পায় না। ফলে ঘুমে যেতে দেরি হয় না, গভীর ও শান্ত ঘুম নিশ্চিত হয়।
দীর্ঘদিন অনিদ্রায় ভুগছেন যারা, তাদের জন্য 'জ্ঞানীয় পরিবর্তন' হতে পারে এক নতুন আশার আলো। এটি কোনো প্রকার ঔষধ ছাড়াই প্রয়োগযোগ্য এবং ব্যক্তিগত অভ্যাস হিসেবে গড়ে তোলা যায় খুব সহজেই। কোনও যন্ত্রপাতি বা চিকিৎসকের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে না, যা এটিকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সুতরাং, ঘুমের সমস্যায় যে কোনো বয়সের মানুষ চাইলে নিজেই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে মস্তিষ্ককে শান্তির স্রোতে নিয়ে যেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, মানসিক চাপ কমানো ও মস্তিষ্ককে নতুন রূপে 'রিসেট' করার এই কৌশল ঘুমের জন্য এক শক্তিশালী হাতিয়ার।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।