গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে শিশু মৃত্যুহার বাড়ছে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজায় ক্ষুধা আর যুদ্ধ পরিস্থিতি একত্রে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে বাড়ছে শিশু মৃত্যুহার। আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই শত শত অপুষ্ট রোগী আসছে, যাদের অনেকেই দাঁড়াতে বা হাঁটতেও পারছে না। চিকিৎসকদের মতে, এই অবস্থা নজিরবিহীন। হাসপাতালে আর বেড নেই, ওষুধ নেই, এমনকি সামান্য চিকিৎসা উপকরণও ফুরিয়ে গেছে।
চিকিৎসকরা জানান, “প্রতিদিন শত শত আহত রোগী আসছেন, কিন্তু আমরা আর কাউকে নিতে পারছি না। হাসপাতালের উঠানে তাঁবু খাটিয়ে জরুরি চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে।”
ইসরায়েলি হামলায় আহত মোসাব নামের এক শিশুর বাবা জানিয়েছেন, “আমার ছেলে এখন তাঁবুতে চিকিৎসা নিচ্ছে। এখানে কোনো ওষুধ নেই, খাবার নেই, পানি নেই। এমনকি ডায়াপারও মিলছে না। ও অপুষ্টিতে ভুগছে। বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে গেছে।”
সাধারণ মানুষ ক্ষুধায় ক্লান্ত ও হতাশ হয়ে রাস্তায় নেমেছে সহায়তার আশায়। একজন ক্ষুধার্ত নারী বলেন, “আমরা দিনে দিনে না খেয়ে ঘুমাতে যাই। আমরা সবাই অনাহারে। এখন আর সহ্য হচ্ছে না।”
ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ চলছে, যা জাতিসংঘ ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মে মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ ফিলিস্তিনি খাদ্য সংগ্রহের সময় নিহত হয়েছেন।
একজন ব্যক্তি বলেন, “আমার ভাগ্নে তার বাবা-মাকে ৫ দিন আগে হারিয়েছে। এখন তার জীবনও হুমকির মুখে। আমি জানি না কীভাবে তাকে মুখ দেখাবো।”
আল শিফা হাসপাতাল শুধু একটি চিকিৎসা কেন্দ্র নয়, এটি গাজার প্রতিরোধ ও টিকে থাকার প্রতীক। সীমাহীন কষ্ট, বোমা হামলা ও অনাহারের মধ্যেও হাসপাতালটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে, প্রতিরোধ করে চলেছে একটি জনপদের ধ্বংসের বিরুদ্ধে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।