জলবায়ু পরিবর্তনে শুকিয়ে যাচ্ছে তাজিকিস্তানের এপ্রিকট বাগান

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
উত্তর তাজিকিস্তানকে বিশ্বের অন্যতম এপ্রিকট রাজধানী বলা হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কৃষকেরা এই জমিতে এপ্রিকট চাষ করে আসছেন। কিন্তু এখন চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। কৃষকেরা জানাচ্ছেন, আগের মতো আর ফলন হচ্ছে না। পানি সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে, যার ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে এপ্রিকট গাছ এবং ফেটে যাচ্ছে জমির মাটি।
গত বছর অনেক জমি মরুভূমির রূপ নিয়েছিল। নদীগুলো, যেগুলো একসময় কৃষিজমিতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করত, এখন সেগুলোর পানিপ্রবাহ বছরের বেশিরভাগ সময়ই কমে যায়। কৃষকেরা এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন।
এই অঞ্চলে এপ্রিকট চাষে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ সরাসরি জড়িত। স্থানীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবেই কাজ করে এই ফলটি। এপ্রিকট চাষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করতে সাহায্য করে।
এপ্রিকট গাছের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি প্রায় কোনো অপচয় ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য। স্থানীয়দের কাছে এটি একটি অমূল্য সম্পদ। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষকেরা এখন বিকল্প খুঁজছেন। অনেকেই জল বাঁচাতে উন্নত সেচ ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকেছেন। কেউ কেউ আবার তুলনামূলকভাবে সহনশীল ফলের দিকে যাচ্ছেন, যেমন কালো বরই।
কালো বরই এপ্রিকটের তুলনায় একটু দেরিতে ফোটে এবং বেশি সহনশীল। যদিও এপ্রিকট স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অংশ, পরিবর্তন এখন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সেই পরিবর্তন আনতে খরচও আছে, যা সবাই বহন করতে সক্ষম নয়।
ফলে বহু কৃষকের জন্য এই মিষ্টি ফল আজ তিক্ত স্মৃতি হয়ে উঠছে, হারিয়ে যাওয়া জীবিকার এক প্রতিচ্ছবি হিসেবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।