হোলি ফ্যামিলি চার্চে মিসাইল হামলা, খ্রিস্টান নারী ও শিশু নিহত

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক আক্রমণের প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। গতকাল গাজার পুরনো শহরে অবস্থিত একমাত্র ক্যাথলিক গির্জা, ‘হোলি ফ্যামিলি চার্চ’-এ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ গির্জাটিতে প্রায় ৫০০ জন খ্রিস্টান ফিলিস্তিনি শান্তিপূর্ণভাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বহু নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন।
হঠাৎ করে ইসরায়েলি একটি যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র গির্জাটির আঙিনায় বিস্ফোরিত হয়। এতে বহু মানুষ আহত হন, এবং অনেকে নিহত হন। আহতদের মধ্যে এক নারীর মা গুরুতর মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা কখনো কল্পনাও করিনি যে গির্জা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।”
গির্জাটি এমন এক স্থানে অবস্থিত, যা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশেই আগে থেকেই ‘নিরাপদ’ ঘোষিত হয়েছিল। ফলে আশ্রয়প্রার্থী অনেকেই সেখানে চলে আসেন। তবে বাস্তবতা ছিল তার বিপরীত।
স্থানীয়রা জানান, এটি ড্রোনের হামলা নয়, বরং একটি জেট যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষিপ্ত মিসাইলের আঘাতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। হামলার সময় সেখানে কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু ছিল না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্মীয় উপাসনালয়, তাও আবার সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নিরাপদ আশ্রয়স্থল, এভাবে হামলার শিকার হওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং খ্রিস্টান সংগঠনগুলো এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।