প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ, তবু দরিদ্র যে দেশ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
টানা বৃষ্টির মধ্যেও লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়ার রাজপথে ধ্বনিত হয়েছে ক্ষোভের স্লোগান। শত শত বিক্ষোভকারী রাজধানীর ক্যাপিটল হিল অভিমুখে মিছিল করে প্রেসিডেন্ট জোসেফ ওয়াকারের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।”
২০২৩ সালের নির্বাচনী প্রচারে প্রেসিডেন্ট ওয়াকার যে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, স্থবির সরকারি বেতন এবং কর্মসংস্থানের সংকট জনজীবনকে নাজুক করে তুলেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—“কীভাবে জনগণের উন্নয়নের কথা বলে সরকারই মানুষকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়?”
সমর্থকদের মতে, সরকার দুর্নীতি রোধে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগে লাইবেরিয়াকে আরও আকর্ষণীয় করেছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এসব উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জীবনে কোনো প্রভাব ফেলছে না। তাদের মতে, “মানুষ না খেয়ে ঘুমাচ্ছে। প্রতিদিনকার জীবন-সংগ্রাম অসহনীয় হয়ে উঠছে।”
দুইটি রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ এবং ২০১৪ সালের ইবোলা মহামারী কাটিয়ে ওঠার পরও লাইবেরিয়া এখনো বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি। অথচ দেশটিতে আছে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য, যা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে জনগণ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে পারত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নেতৃত্বের অভাব এবং জনকল্যাণকে অগ্রাধিকার না দেওয়াই এই অবনতির প্রধান কারণ। বর্তমানে জনঅসন্তোষ চরমে পৌঁছেছে, এবং প্রেসিডেন্ট ওয়াকার প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে—প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।