অনাবৃষ্টি ও খরায় নষ্ট ফসল, খাদ্য সংকটে ইয়েমেন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইয়েমেনের রাজধানী সানার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে এবছরের অনাবৃষ্টি কৃষক সমাজের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে। চাষাবাদ ছেড়ে অনেকেই পশু পালনে মনোযোগ দিলেও খরায় ঘাসহীন মাঠে তাদের গবাদিপশু অনাহারে মারা যাচ্ছে। এক কৃষক বলেন, “গত বছর প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু এবছর পুরো গ্রীষ্মকাল বৃষ্টিহীন কেটেছে। আগে পাহাড়গুলো সবুজ থাকত, এখন শুকিয়ে গেছে। ৭০টি ভেড়া ছিল, এখন আছে ৫০টি।”
খরা ইয়েমেনের জন্য নতুন নয়, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই পরিস্থিতি গত কয়েক দশকে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, কৃষিজমির ৮৫ শতাংশ এবছর মৌসুমি ফসলের জন্য চাষ করা সম্ভব হয়নি। জুলাই থেকে অক্টোবরের দ্বিতীয় মৌসুমে যদি বৃষ্টি না হয়, তবে এটি ইয়েমেনের জন্য বড় বিপর্যয় হয়ে উঠবে।
জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ফলে খরা শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তার জন্যও হুমকি। যদিও ইয়েমেন তার ৮০ শতাংশ খাদ্য আমদানি করে, তারপরও আবহাওয়া-নির্ভর উৎপাদনশীলতা, হঠাৎ বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড় ও শৈত্যপ্রবাহ খাদ্য সরবরাহে ১৫-২০ শতাংশ ওঠানামা তৈরি করে।
যুদ্ধ, অবরোধ এবং মূল্যস্ফীতির কারণে বহু বছর ধরে দুর্ভোগ পোহানো ইয়েমেনিদের জন্য এই খরা যেন আরেক দুঃস্বপ্ন হয়ে এসেছে। নিজের ঘামে উৎপাদিত সামান্য খাদ্যটুকুও আজ অনিশ্চয়তার মুখে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।