গাজায় যুদ্ধের মাঝেও পড়াশোনায় মগ্ন শিক্ষার্থীরা, অনলাইনে মাধ্যমিক পরীক্ষা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে চলমান সংঘাত শিক্ষাব্যবস্থাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ইসরায়েলি হামলায় ৯৫% শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে প্রথাগত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই সংকটে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে গাজা শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে, যার মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তবে তাদের সামনে রয়েছে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ—দুর্বল ইন্টারনেট, প্রয়োজনীয় ডিভাইসের অভাব, এবং নিরাপদ পরিবেশের অনুপস্থিতি। অনেকে ক্যাফে, তাঁবু বা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে, যেখানে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেটও থাকে না।
একজন শিক্ষার্থী জানান, “আমরা বই হারিয়েছি, ডিভাইস নেই, পড়ার পরিবেশ নেই—তবুও চেষ্টা করছি।” পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ‘মক টেস্ট’ রাখা হয়েছে, যাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা আগে থেকে বোঝা যায়।
শিক্ষকদের একটি অংশ ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণিকক্ষ পুনরায় চালু করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছেন। একজন শিক্ষক বলেন, “শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো অনলাইনে পরীক্ষা দিচ্ছে। তারা দ্বিধায় ভুগছে। তাই আমরা ধাপে ধাপে সহযোগিতা করছি।”
এই পরীক্ষা শুধু একটি একাডেমিক ধাপ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি প্রতিরোধের প্রতীক, ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সেতুবন্ধন। গাজা’র এই তরুণেরা প্রমাণ করছে—যুদ্ধ, ধ্বংস আর সীমাবদ্ধতার মাঝেও শিক্ষার আলো নেভেনি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।