সাম্প্রতিক সহিংসতায় ফাটল ধরেছে সিরিয়ার জাতিগত সহাবস্থানে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সিরিয়ার রাজধানী দামেশকের দ্রুজ সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাতে সম্প্রতি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের সুয়েইদা প্রদেশের সহিংসতার রেশ ধরে। স্থানীয় দ্রুজ নেতা রাবি জানান, তিনি আসাদ পরবর্তী রূপান্তরকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কিছুই করে দেখাতে পারেনি। রাবির ভাষায়, "দক্ষিণে সংঘর্ষের জন্য সরকারের অংশগ্রহণ এবং ক্ষমতা ভাগাভাগির ব্যর্থতাই দায়ী।"
সুয়েইদাতে সম্প্রদায়ভিত্তিক দাঙ্গা এবং সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যদিও শুক্রবার একটি দুর্বল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এসেছে, তবে মানুষ এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দামেশকের এক বাসিন্দা জানান, “সরকার যদি সত্যিকারের জাতীয় ঐক্য চায়, তবে তা শুধু কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হবে।”
সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম জাতিগত ও ধর্মীয় বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। তবে ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে জাতিগত ঐক্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানীর খ্রিস্টান-অধ্যুষিত বাপ্তুম জেলায় দীর্ঘকাল ধরে গির্জা ও মসজিদ পাশাপাশি থাকলেও সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঐক্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
স্থানীয়রা মনে করেন, এই অস্থিরতা মূলত বাইরের হস্তক্ষেপের ফল। গত ১৭ জুলাই, ইসরায়েল দ্রুজদের রক্ষার অজুহাতে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে হামলা চালায়। এতে ৩০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়। সিরিয়া এটিকে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং বিভেদ তৈরির ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
সরকার বলছে, তারা অবকাঠামো পুনর্গঠন ও সমাজিক ক্ষত নিরাময়ে কাজ করছে। তবে সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রমাণ করে, পুনরুদ্ধারের পথ এখনো অনেক দীর্ঘ ও কণ্টকাকীর্ণ।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।