ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম দিন আজ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
২০২৫ সালের ২২ জুলাই পৃথিবী দ্বিতীয় দ্রুততম দিনে প্রবেশ করেছে। অর্থাৎ, আজকের দিনটি অন্যান্য দিনের তুলনায় ছোট। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি নিছক বৈজ্ঞানিক কৌতূহলের বিষয় নয়—বরং সময় পরিমাপ ও আমাদের ডিজিটাল অবকাঠামোর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা।
প্রাচীন কালের তুলনায় পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীরে ধীরে কমে আসছিল, ঠিক যেন ঘূর্ণায়মান একটি লাটিম ধীরে থেমে যাচ্ছে। এ কারণে মাঝে মাঝে ‘লিপ সেকেন্ড’ যোগ করে সময় মেলাতে হতো। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে ঘূর্ণনের এই ধারা বদলে গেছে। এখন পৃথিবী আগের তুলনায় দ্রুত ঘুরছে।
বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ জুলাই পৃথিবী একদিন ঘূর্ণন শেষ করেছে ১.৫৯ মিলিসেকেন্ড দ্রুত, যা ছিল এক রেকর্ড। এ বছরও ৯ জুলাই ও আজ ২২ জুলাই অস্বাভাবিক দ্রুততায় ঘূর্ণন হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট আরও একটি দ্রুততম দিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিলিসেকেন্ড পার্থক্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তেমন অনুভব করা যায় না, কিন্তু প্রযুক্তিগতভাবে এটি বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। মোবাইল, জিপিএস, ইন্টারনেট—সবকিছুই নির্ভর করে নিখুঁত সময় গণনার ওপর। সময়ের এই সূক্ষ্ম বিভ্রাটে ব্যাংক লেনদেন, কম্পিউটার সার্ভার বা অ্যাপ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা আলোচনা করছেন ‘নেগেটিভ লিপ সেকেন্ড’-এর ব্যাপারে, অর্থাৎ সময় থেকে এক সেকেন্ড বাদ দেওয়া। এটি আগে কখনও করা হয়নি এবং প্রযুক্তির দুনিয়ায় এটি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন।
পৃথিবীর এই আচমকা পরিবর্তনের পেছনে কী কারণ—তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলছেন ভূপৃষ্ঠের গভীর কেন্দ্রীয় পরিবর্তন, কেউ বা বায়ুমণ্ডল বা সমুদ্রস্রোতের প্রভাবকে দুষছেন। একথা নিশ্চিত—পৃথিবীর ছন্দে যেহেতু পরিবর্তন আসছে, আমাদের প্রযুক্তি ব্যবস্থাকেও সেই ছন্দে তাল মেলাতে হবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।