তিনি বলেন, "দুইজন রোগীকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। এছাড়া চিকিৎসাধীন আরও ১০ জনকে চিকিৎসকরা শঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচনা করছেন। তবে বাকি ৩০ জনের অবস্থা এখনও স্পষ্ট নয়।"

তিনি আরও জানান, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থায় ইন্টারভেনশন, ফ্লুইড ও ওষুধ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ড. সায়েদুর রহমান বলেন, "আমাদের হাসপাতালের সঙ্গে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের একটি সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। আমরা তাদেরকে দুর্ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছি। তাদের একজন সিনিয়র কনসালটেন্ট ও দুজন নার্স আজ রাতেই বাংলাদেশে পৌঁছাবেন এবং আগামীকাল থেকেই চিকিৎসা টিমে যুক্ত হবেন।"

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানান, এখন পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও ১৬৫ জন।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।