হার্ট অ্যাটাক থেকে দূরে থাকুন রপ্ত করুন এই সহজ অভ্যাসগুলি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
দৈনন্দিন জীবনে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। বর্তমানে অল্প বয়সীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রবণতা বাড়ছে। তাই হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব।
কীভাবে অভ্যাস পরিবর্তন করবেন, দেখে নিন একনজরে-
ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করুন:
ধূমপান হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে আজই তা ত্যাগ করুন। এছাড়া অ্যালকোহলও হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। হার্ট ভালো রাখতে চাইলে ধূমপান ও অ্যালকোহল দুটিই বাদ দিতে হবে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান:
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন:
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। অতিরিক্ত ওজন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের দিকে বিশেষ নজর দিন।
লবণ ও চিনি কম খান:
অতিরিক্ত লবণ ও চিনি খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বেশি লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং চিনি খাওয়ার পরিমাণও সীমিত করুন।
মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন:
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস হৃদরোগের একটি বড় কারণ। স্ট্রেসের কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব স্ট্রেস কমিয়ে আনুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ডার্ক চকোলেট, গ্রিন টি বা লিকার চা পান করুন:
ডার্ক চকোলেট, গ্রিন টি বা লিকার চা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। তবে এগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। অতিরিক্ত খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হতে পারে।
নিয়মিত চেকআপ করুন:
নিয়মিত ব্লাড প্রেশার ও সুগার লেভেল পরীক্ষা করানো জরুরি। সামান্য ওঠানামা হলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি আগে থেকেই শনাক্ত করা সম্ভব।
সর্বোপরি, সচেতনতা ও নিয়ম মেনে চলাই হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।