গাজা সংকটে বিশ্ব নীরবতায় জাতিসঙ্ঘের তীব্র নিন্দা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরব ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘এত ব্যাপক ধ্বংস সাম্প্রতিক ইতিহাসে আর দেখা যায়নি।’ গাজা সংকটকে কেবল মানবিক নয়, বরং এক "নৈতিক সংকট" হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশ্ব বিবেককে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় গুতেরেস বলেন, ‘আমি ব্যাখ্যা খুঁজে পাই না কেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এমন অন্ধ উদাসীনতায় আক্রান্ত। এ নিস্ক্রিয়তা সহানুভূতি, মানবতা ও ন্যায়ের অভাবের প্রতিচ্ছবি।’
গাজায় চলমান যুদ্ধে মার্চ মাসে খাদ্য ও ত্রাণ প্রবেশে অবরোধ জারি করে ইসরাইল। পরে আংশিক শিথিলতা এলেও, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ক্ষুধা ও অপুষ্টির হার মারাত্মকভাবে বেড়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) সীমিত সহায়তা বিতরণ করছে। জাতিসঙ্ঘসহ অনেক সাহায্য সংস্থা জিএইচএফের সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তাদের অভিযোগ—এই সংস্থা ইসরাইলি সামরিক লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির প্রধান মিরজানা স্পলিয়ারিচ জানান, গাজায় রেডক্রসের কর্মীরাও খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছে। তিনি বলেন, ‘এই সংকটের আর কোনো অজুহাত থাকতে পারে না।’
গুতেরেস বলেন, ‘শিশুরা আজ বলে তারা স্বর্গে যেতে চায়, কারণ অন্তত সেখানে খাবার পাওয়া যায়। ভিডিও কলে আমরা আমাদের কর্মীদের কষ্ট দেখতে পাই। কিন্তু শুধুমাত্র কথা দিয়ে ক্ষুধার্ত শিশুদের পেট ভরে না।’
গত ২৭ মে থেকে জিএইচএফ কার্যক্রম শুরুর পর খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি। গুতেরেস বলেন, এখনই জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি, সব বন্দির মুক্তি এবং অবাধ মানবিক সহায়তার পথ খুলে দিতে হবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।