"আমি মরে গেলে কেউ আফসোস করবেন না”— শিল্পী মৌ শিখার হৃদয়স্পর্শী আকুতি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আলো ঝলমলে পর্দার আড়ালে একজন মানুষ কতটা লড়াই করেন—তা বোঝা যায় তখনই, যখন তিনি নিজেই তা জানিয়ে দেন। এমনই এক হৃদয়বিদারক বাস্তবতা তুলে ধরেছেন টিভি নাটকের পরিচিত মুখ, জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌ শিখা।
অভিনয় জগতে দীর্ঘ ২৫ বছরের পথচলা তাঁর। একসময় মাসে ১৫-২০ দিন কাজ করতেন তিনি। অথচ গত আড়াই মাস ধরে মাসে চার-পাঁচ দিনের বেশি কাজ মিলছে না তাঁর হাতে। এই কঠিন সময় আর অভাবের যন্ত্রণা নিয়েই ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্টে নিজের কষ্টের কথা জানান এই অভিনেত্রী। লেখেন
"আমি মরে গেলে কেউ আফসোস করবেন না। আমাকে মনে রাখার দরকার নেই। আমি বেঁচে থাকতে কাজ চাই, সম্মান চাই।
তিনি জানান, অভিনয়ের বাইরেই তাঁর কোনো আয়ের উৎস নেই। সেটাই তাঁর সংসার চালানোর একমাত্র ভরসা। কিন্তু এখন কাজ নেই, ব্যস্ততা নেই, নেই কোনো ডাক। অথচ রেমুনারেশন বাড়ানো তো দূরের কথা, আজও তাঁর পারিশ্রমিক খুব সাধারণ পর্যায়েরই।
এভাবে হঠাৎ করেই কেন কাজ কমে গেল, সেটা নিয়েও তাঁর মন ভার। পরিচালকরা কেন আর ডাকে না, কেন গল্পে তাঁর জন্য জায়গা রাখছে না—তা নিয়েও রয়েছে অস্পষ্টতা। তাঁর আকুতি, বেঁচে থাকতেই যেন তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, মৃত্যুর পর নয়।
ফেসবুক পোস্টে শিখার এই আত্মকথনে নড়েচড়ে বসেছে সহকর্মী, অনুরাগী ও ভক্তমহল। অনেকে মন্তব্যে সমবেদনা জানিয়েছেন। জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনিরা মিঠু নিজেই শেয়ার করেছেন মৌ শিখার পোস্টটি এবং পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সহকর্মীদের।
একজন শিল্পীর জীবনে হঠাৎ এমন বিরতি শুধু আর্থিক নয়, মানসিকভাবেও বড় ধাক্কা। মৌ শিখা সেই ধাক্কাটাই সাহস করে সামনে এনেছেন—নিজেকে হেয় না করে, বরং শিল্পীর সম্মানটুকু আকাঙ্ক্ষা করে।
আমরা যদি সত্যিই একজন শিল্পীর অবদানকে সম্মান করতে চাই, তাহলে সেটা তাঁর জীবিত থাকাকালেই করা উচিত। মৌ শিখার মতো অনেক শিল্পী আছেন, যারা প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকলেও আমাদের বিনোদনের ভুবনে বছরের পর বছর অবদান রেখেছেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।