প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের কঠোর উদ্যোগ

প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের কঠোর উদ্যোগ
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও প্রশাসনে শৃঙ্খলা পুরোপুরি ফিরে আসেনি। আন্দোলন, অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতার প্রেক্ষাপটে প্রশাসনে স্থিতিশীলতা ফেরাতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার রোধে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিব মুখলেস উর রহমান জানান, সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। আন্দোলন বা অকারণ কর্মবিরতিকে আর প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে সাফ জানানো হয়েছে।

গত এক বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কর্মসূচির মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। এনবিআরের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব সংগ্রহ ব্যাহত হয়। এনবিআরের চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয়া ১৪ কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন মন্তব্য ও আচরণ নিয়ন্ত্রণে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সতর্ক করেছে মন্ত্রণালয়। যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রশাসনে স্থিতি আনতে সরকার নতুনভাবে ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। এতে বলা হয়েছে, আন্দোলনে জড়ালে বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্তের বিধান কার্যকর হবে। তবে তদন্ত ছাড়া শাস্তি নয়—এ নীতিতেও নমনীয়তা আনা হয়েছে।

একইসঙ্গে, পদোন্নতি ও পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে প্রশাসনে দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূর করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাঠ প্রশাসন থেকে সচিবালয় পর্যন্ত কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে নতুনভাবে নিয়োগ ও পদায়ন চলছে।

জনপ্রশাসন বিশ্লেষক ও সাবেক সচিব আব্দুল আওয়াল মজুমদার বলেন, কঠোর নজরদারি ছাড়া প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরবে না। আইন বাস্তবায়নই হবে সরকারের প্রকৃত সফলতার মাপকাঠি।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ