৩ হাজার ৯০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে নাসা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, কর্মী কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে তারা। সংস্থাটি প্রায় ২০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কর্মী সংস্থাটি ছেড়ে দিচ্ছেন। এই পদক্ষেপকে নাসা ‘বিলম্বিত পদত্যাগ কর্মসূচি’র দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, তারা একটি অধিক দক্ষ ও সুশৃঙ্খল সংস্থা হিসেবে কাজ করার লক্ষ্যে ভারসাম্য রক্ষা করছে। চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যই সংস্থার প্রধান অগ্রাধিকার।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ফেডারেল কর্মীসংখ্যা কমানোর বৃহৎ উদ্যোগের অংশ হিসেবেই নাসার এই ছাঁটাই। যদিও একই সময়ে মহাকাশ অভিযানে বরাদ্দ ও অগ্রাধিকার বাড়ানো হচ্ছে।
নাসা জানায়, প্রথম দফায় ৮৭০ কর্মী এবং স্বাভাবিক অবসরের সঙ্গে মিলিয়ে জানুয়ারিতে মোট কর্মীসংখ্যা যেখানে ছিল ১৮ হাজার, তা এখন নেমে এসেছে প্রায় ১৪ হাজারে। অর্থাৎ ২০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পাচ্ছে সিভিল সার্ভেন্ট কর্মী।
‘বিলম্বিত পদত্যাগ’ কর্মসূচির আওতায় যেসব কর্মী নাসা ছাড়ছেন, তারা নির্ধারিত একটি তারিখ পর্যন্ত প্রশাসনিক ছুটিতে থাকবেন। সংস্থার মুখপাত্র জানান, এই সংখ্যা সামনের কিছুদিনে কমবেশি হতে পারে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত বাজেটে বিজ্ঞান ও জলবায়ু সংশ্লিষ্ট গবেষণার জন্য বরাদ্দ কমানো হয়। পরিবর্তে চাঁদ ও মঙ্গল অভিযানে বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা আসে। হোয়াইট হাউস জানায়, তারা চীনের আগে চাঁদে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্য এবং মঙ্গলে প্রথম মানব পাঠানোর প্রস্তুতিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এদিকে চীনের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষসহ চাঁদে পৌঁছানো। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের আর্টেমিস চন্দ্রাভিযান বারবার বিলম্বিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নাসা একটি ‘অ্যাক্টিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ধনকুবের জ্যারেড আইজ্যাকম্যানকে সংস্থার দায়িত্ব দিতে চাইলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।