ঝালকাঠিতে জোয়ারের পানিতে ১২ গ্রাম প্লাবিত

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার অন্তত ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষখালী নদীতে কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, পুকুর, ফসলি জমি ও সরকারি অফিস চত্বর তলিয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবনে মারাত্মক ভোগান্তি নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক ফুট বেড়ে আমুয়া, হেতালবুনিয়া, জয়খালী, আউরা, বড় কাঁঠালিয়া, শৌলজালিয়া, কচুয়া, তালগাছিয়া, জাঙ্গালিয়া, রঘুয়ারচরসহ বহু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি ও টিউবওয়েল পানির নিচে চলে গেছে।
জয়খালী গ্রামের মো. আইউব আলী সরদার জানান, বারবার পানি উঠে পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ফলে মাছ চাষিরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পশ্চিম আউরা গ্রামের মাছচাষি মো. মনির হোসেন খান জানান, “প্রতিদিন জোয়ারের লোনাপানি ঢুকে মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বর্ষায় এ পানি আরও বাড়ছে, ফলে চাষাবাদ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।”
উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী মো. খাইরুল আকন বলেন, “জোয়ারে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনের রাস্তাও ডুবে যাচ্ছে। এতে যান চলাচল ও সাধারণ মানুষের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে।”
উত্তর আউরা গ্রামের মো. হাচিব ভুট্টো বলেন, “বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্রতিনিয়ত লোকালয়ে ঢুকে ভয়াবহ ক্ষতি করছে। রোববারের জোয়ার ছিল নজিরবিহীন। দ্রুত একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হলে ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।”
তবে কাঁঠালিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান বিন ইসলাম বলেন, পানি আবার নেমে যাচ্ছে, তাই ফসলের স্থায়ী ক্ষতি হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম জানান, জোয়ারের পানি দু’একদিন থাকতে পারে, আমরা নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।