ফেসবুক পোস্টে কেয়া লিখেন, “আমরা গণঅভ্যুত্থানের পর একটি প্ল্যাটফর্মে এসেছিলাম মুরাদনগর থেকে। সেই অভ্যুত্থানে আমাদের হাজারো ভাই-বোন শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। তাই আমি নিজেই এসব কিছু থেকে সরে দাঁড়ালাম। আজ থেকে এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।”

তিনি আরও লেখেন, “যার জন্য করলাম চুরি, সেই বলে চোর! এটা আমার ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে না, কে বলল? আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল কর্মী ছিলাম। কিন্তু আজকের পর থেকে এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না। দেশের স্বার্থে আমি সবসময় লড়াই করে যাব। ইনশাআল্লাহ, আমাকে সবসময় দেশের পক্ষে পাওয়া যাবে।”

পদত্যাগের কারণ হিসেবে কেয়া জানান, সম্প্রতি কুমিল্লা টাউনহল মাঠে এনসিপির একটি পদযাত্রায় যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দিয়েছিল, সেই আওয়ামী লীগের লোকজনকে সামনের সারিতে দেখা গেছে। বিষয়টি তিনি শহীদদের সঙ্গে বেইমানি হিসেবে দেখছেন এবং তা মেনে নিতে পারছেন না। তিনি লেখেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, ভবিষ্যতেও থাকব না। তবে দেশের স্বার্থে আমি সবসময় সংগ্রামে থাকব।”

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন বলেন, “কেয়ার পদত্যাগের খবর জেনেছি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি। সে যে অভিযোগ করেছে, সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব।”