দেশের রাজনৈতিক ও বৈদেশিক খাতের স্থিতিশীলতা প্রবৃদ্ধি বাড়াবেঃ এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৈদেশিক খাতে সার্বিক লেনদেনে স্থিতি নিশ্চিত করা গেলে আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারে আবার গতি ফিরে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক ঋণমান যাচাইকারী সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তারা বলেছে যে, স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে পরবর্তী তিন বছরে প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬.১ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
তবে, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বৈদেশিক লেনদেনে বাধা প্রবৃদ্ধির গতিকে শ্লথ করবে বলে সংস্থাটি আশঙ্কা করছে। একই সাথে ২০২৬ সালের সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ককে দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি ঝুঁকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এই শুল্ক কার্যকর হলে তৈরি পোশাক খাতের সক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং দেশের শ্রমবাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত দুই বছরে বাংলাদেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় তবে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরতে শুরু করেছে। তবে রাজনৈতিক ও সার্বিক বৈদেশিক লেনদেনে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হলে আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের প্রবৃদ্ধির হারে আবার গতি ফিরে আসতে পারে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক আর্থিক সহায়তা বা ঋণ, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ঊর্ধ্বগতি এবং তৈরি পোশাক খাত থেকে বাড়তি রপ্তানি আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক খাতে লেনদেনের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে বলে আশা ব্যক্ত করে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল।
তবে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীদের এখনো বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় বলে উল্লেখ করেছে তারা। যেমন, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত দুর্বলতা, অবকাঠামোগত ঘাটতি এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা।
যদি একটি নির্বাচিত সরকার গঠনের মাধ্যমে আগামীতে আরও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে এবং দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কারের ভিত্তি গঠনে সহায়ক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।