থাইরয়েডের ভারসাম্য রক্ষায় প্রাচীন ঘরোয়া রহস্য!

থাইরয়েডের ভারসাম্য রক্ষায় প্রাচীন ঘরোয়া রহস্য!
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য আজকের আধুনিক জীবনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। হরমোনের অস্বাভাবিকতা ওজন বাড়ানো, অবসাদ, ত্বকের সমস্যা, চুল পড়া এবং মেজাজ খিটখিটে হওয়া সহ নানা উপসর্গের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই চিকিৎসার পাশাপাশি ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক পদ্ধতির খোঁজে থাকেন। ধনিয়া ভিজানো পানি সেই পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম আলোচিত বিষয়।

ধনিয়া-স্বাস্থ্যকর এক সুপারফুড

ধনিয়া বা ধনে পাতা, গোটা বীজ সহ এই উদ্ভিদ প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন দেশে ঔষধি ও রান্নার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ধনিয়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফাইবার এবং বিশেষ ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।

 

ধনিয়া ভিজানো পানির গুণাগুণ

ধনিয়া গোটা বীজ রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হতে পারে, এমনটাই প্রচলিত। এ ছাড়াও, ধনিয়া পানি হালকা ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এটি কিডনির মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণ ও পানির নিষ্কাশন বাড়িয়ে শরীরের ফুসকুড়ি কমাতে সহায়তা করে। এতে যকৃতের কার্যক্ষমতাও উন্নত হতে পারে। যেহেতু থাইরয়েড হরমোনের সঠিক উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় যকৃত ও কিডনির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই পানীয়ের মাধ্যমে কিছু মাত্রায় সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা আলোচনা হচ্ছে।

 

তবে, এখনো পর্যন্ত ধনিয়া ভিজানো পানি সরাসরি থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী—এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। থাইরয়েডের রোগীরা মূলত চিকিৎসকের পরামর্শে নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে ধনিয়া পানির ভূমিকা থাকলেও একে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করা ঝুঁকিপূর্ণ।

 

কীভাবে নিরাপদে ব্যবহার করবেন?

ধনিয়া ভিজানো পানি পান করলে শরীরের পুষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে, তবে থাইরয়েড রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেকোনো ঘরোয়া পদ্ধতি গ্রহণের আগে পেশাদার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

 

থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে ধনিয়া ভিজানো পানির মতো প্রাকৃতিক উপায়গুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হতে পারে। তবে এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও প্রয়োজন, তাই সতর্কতার সঙ্গে এগোনোই বুদ্ধিমানের কাজ।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ