অভিযুক্ত যাত্রী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা। স্ক্যানিংয়ের সময় তাকে সন্দেহজনক মনে হলে দায়িত্বরত সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রাথমিকভাবে তিনি বৈদেশিক মুদ্রা বহনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে শরীর তল্লাশি করে মুদ্রা বহনের প্রমাণ মেলে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ডিজিএফআই কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পরে বিমানবন্দরের কাস্টমস ব্যাগেজ কাউন্টারে নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে এভসেক, কাস্টমস, এনএসআই, ডিজিএফআই, বিমানবাহিনী টাস্কফোর্স ও সিআইআইডি-র সমন্বয়ে গঠিত টিম তার ব্যাগেজ তল্লাশি করে ৪ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার, ৪৭ হাজার ৮৮৫ ইউএই দিনার, ৩ হাজার ৭৬২ সৌদি রিয়াল, ৩৪৬ ওমান দিনার ও ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এসব মুদ্রার মোট মূল্য বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ২২ লাখ টাকা।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, অনুমোদনবিহীনভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বহনের দায়ে মুদ্রাগুলো ডিএম মূলে জব্দ করা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যাত্রীকে পতেঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে সরকারের রাজস্ব শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগে পতেঙ্গা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।