থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতে শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত দুই দেশ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত সংঘাত বন্ধে শর্তহীন ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সোমবার আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি জানান, বৈঠকে উপস্থিত দুই দেশের নেতারা যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছেন এবং সিদ্ধান্তটি সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে।
গত পাঁচ দিন ধরে থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও পাল্টা হামলায় অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি। ভয়াবহ এই সংঘাতে দুই লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কুয়ালালামপুরে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বৈঠকে বসেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘সেরি পেরদানা’-তে।
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিরাও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং অবিলম্বে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান। আসিয়ানের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই আলোচনার উদ্যোগ নেন।
তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার ঠিক আগমুহূর্তেও সীমান্তে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া শান্তির নামে প্রতারণা করছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া বলেছে, থাই সেনাবাহিনী তাদের ভূখণ্ডে ভারী অস্ত্র ও অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে। দুই পক্ষই পরস্পরের ওপর সংঘাতের দায় চাপিয়েছে।
দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধে এমন উত্তেজনা বিরল নয়, তবে এবারের সংঘাত ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও স্থায়ী শান্তির জন্য কূটনৈতিক সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।