কুরআন পাঠে মস্তিষ্কে আলফা তরঙ্গের জাগরণ!!সাইকোলজিক্যাল ও নিউরোলজিক্যাল উপকারিতা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত এবং জিকিরের মধ্যে লুকিয়ে আছে শুধু আত্মার প্রশান্তি নয়, আধুনিক বিজ্ঞানও এখন তা প্রমাণ করতে শুরু করেছে। বিভিন্ন নিউরোসায়েন্টিফিক গবেষণায় দেখা গেছে, যখন মানুষ গভীর মনোযোগ ও ভাব নিবিষ্ট হয়ে কুরআন পড়ে বা জিকির করে, তখন মস্তিষ্কের ইলেকট্রোডায়নামিক পরীক্ষায় (EEG) দেখা যায় আলফা তরঙ্গের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
আলফা তরঙ্গ হলো মস্তিষ্কে ৮ থেকে ১২ হার্জ ফ্রিকোয়েন্সির এক ধরনের নিউরোইলেকট্রিক সিগন্যাল। এটি মানসিক শান্তি, স্থিতি এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। যখন আমরা ধ্যান বা গভীর চিন্তায় থাকি, তখন এই তরঙ্গ বেশি থাকে এবং মস্তিষ্কের কোণঠাসা চিন্তা, উদ্বেগ কমে।
বিশেষ দৃষ্টিগোচর বিষয় হলো, কুরআনের তিলাওয়াত বা জিকিরের সময় এই আলফা তরঙ্গ বৃদ্ধি পেলে ঘুমের চাহিদাও কমে যায়। অর্থাৎ, যারা নিয়মিত এই আধ্যাত্মিক অনুশীলন করেন, তাদের শরীর অল্প ঘুমেই পূর্ণ বিশ্রাম পায়। এর কারণ হলো আলফা তরঙ্গ মস্তিষ্ককে বিশ্রামের মতো এক ধরণের সক্রিয় প্রশান্তি দেয়, যা ঘুমের কাজ অনেকাংশে পূরণ করে।
আলোচিত গবেষণাগুলো বলছে, এই তরঙ্গের বৃদ্ধি শুধু মানসিক শান্তি আনে না, বরং মানুষের বিবেক ও সজাগতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের যখন আলফা তরঙ্গ সক্রিয় থাকে, তখন ব্যক্তি নৈতিকতার প্রতি বেশি সচেতন থাকে এবং পাপমূলক কাজ থেকে বিরত থাকার প্রবণতা বেড়ে যায়। মানসিক স্থিতিশীলতা ও আত্মসংযম বাড়ায় এই তরঙ্গ, যা সামগ্রিক জীবনযাত্রার উন্নতিতে সহায়ক।
বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার মিলনে এটি স্পষ্ট যে কুরআন পাঠ ও জিকিরের পেছনে রয়েছে মস্তিষ্ক ও মনকে সুস্থ ও সতেজ রাখার গভীর কারণ। বর্তমান দুনিয়ায় যেখানে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও অনিদ্রার সমস্যায় মানুষ ভুগছে, সেখানে এই প্রাচীন অনুশীলন নতুন এক জাগরণ হিসেবে আবির্ভুত হচ্ছে।
তাই বলা যায়, কুরআনের শব্দ ও জিকিরের ছন্দের মধ্যে নয় শুধু বিশ্বাস, বরং মস্তিষ্কের এক রহস্যময় স্বাস্থ্যের মন্ত্র লুকিয়ে আছে—যা আধুনিক বিজ্ঞানও আজ ক্রমশ স্বীকার করছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।