থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুভারি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী পারস্পরিক আস্থা বিনষ্ট করতে ইচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আত্মরক্ষার জন্য থাইল্যান্ডও পাল্টা জবাব দিতে বাধ্য হয়েছে।

তবে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এ ঘটনাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং উভয় দেশের সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা এক ব্রিফিংয়ে জানান, মালয়েশিয়ায় শান্তি চুক্তির পর থেকে সীমান্তে কোনো সংঘর্ষ হয়নি।

থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশ থেকে আল জাজিরা জানায়, সীমান্তের কয়েকটি এলাকায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কম্বোডিয়ার সামরাওং শহর থেকে এএফপি জানিয়েছে, মধ্যরাতের ৩০ মিনিট আগে বিস্ফোরণের শব্দ থেমে যায় এবং ভোর পর্যন্ত এলাকা শান্ত ছিল।

উল্লেখ্য, পাঁচ দিনের সংঘর্ষে উভয় দেশের কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ বন্ধের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও ঘটনাপ্রবাহে নতুন করে উত্তেজনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।